ভিন্নজগত রংপুর - টুরিস্ট গাইড ২৪


                                   ভিন্নজগত রংপুর





প্রবেশ পথ
ভিন্নজগতের আকর্ষণ: 


বেসরকারিভাবে প্রায় ১শ’ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই বিনোদন কেন্দ্রটি সারাক্ষণ নানা জাতের পাখির কোলাহলে মুখরিত থাকে। এর গাছে গাছে দেখা যায় নানান প্রজাতির পাখি। সন্ধ্যা হলেই তারা তাদের নীড়ে ফিরে আসে। ভিন্নজগতে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজারও বৃক্ষ। এখানে দর্শনার্থীরা গাছের ছায়ায় সারাটা দিন ঘুরে বেড়াতে পারেন। ভিন্নজগতের প্রধান ফটক পার হলেই তিন দিকের বিশাল লেক ঘেরা নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা শেষ হলেই সামনে পড়বে লোহার ১টি ব্রিজ। ব্রিজটি পার হলেই ভিন্নজগতের ভেতর যেন আরেকটি ভিন্নজগত।

ডাইনেসর 

এখানে রয়েছে আধুনিক বিশ্বের বিস্ময় এবং দেশের প্রথম প্লানেটোরিয়াম। রয়েছে রোবট স্ক্রিল জোনস্পেস জার্নিজল তরঙ্গসি প্যারাডাইসআজব গুহানৌকা ভ্রমণশাপলা চত্বরবীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্যওয়াক ওয়েথ্রিডি মুভিফ্লাই হেলিকপ্টারমেরি গো রাউন্ডলেক ড্রাইভসুইমিং পুল স্পিনিং হেডমাছ ধরার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে রয়েছে অন্তত ৫শটি পৃথক দলের পিকনিক করার ব্যবস্থা। শুধু ভেতরেই রয়েছে অন্তত ৮/৯শ গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা। কটেজ রয়েছে ৭টি। রয়েছে থ্রি স্টার মডেলের ড্রিম প্যালেস। এখানকার জলাশয়ে রয়েছে নৌভ্রমণের সুবিধা। শিশুদের জন্য রয়েছে 



ভিন্নজগত ট্রেন

ক্যাঙ্গারুহাতিঘোড়াসহ নানা জীবজন্তুর মূর্তি। ভিন্নজগতের জলাশয়ের চারধার জুড়ে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে রোপিত  নানা জাতের শোভাবর্ধনকারী গাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনবাসমাইক্রোবাসমোটরসাইকেলরিকশাঅটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে। বগুড়া থেকে ভিন্নজগতে বেড়াতে আসা দম্পতি ফারহানা কবীর ও আহসান কবীর জানানউত্তরাঞ্চলের অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ে এই বিনোদন কেন্দ্রে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব কিছুই সুন্দর। ভিন্নজগতে থাকা-খাওয়ারসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। 


নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

ভিন্নজগতে রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
এ ব্যাপারে ভিন্নজগতের মালিক মোস্তফা কামাল জানান, ভিন্নজগত উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনোদন কেন্দ্র। তিনি বলেন, এখানে যারা বেড়াতে আসেন তাদের নিরাপত্তার দায়দায়িত্ব এখানে যারা কর্মরত আছেন তাদের


কিভাবে যাওয়া যায়:

ঢাকার মহাখালী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর এবং গাবতলী থেকে রংপুরগামী বেশ কয়েকটি বিলাস বহুল এসি ও নন এসি বাস রয়েছে। এসব বাসের ভাড়া ৫শটাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রংপুর এক্সপ্রেস সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টায় রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। রংপুরে ট্রেন ভাড়া ২শথেকে ৭শটাকা। ঢাকা থেকে রংপুর আসতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। ট্রেনে লাগবে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। রংপুর থেকে সরাসরি ভিন্নজগতে যাওয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাইভেটকারের ভাড়া ৪শথেকে ৫শটাকা এবং মাইক্রোবাসের ভাড়া ৮শথেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া সৈয়দপুর দিনাজপুরের গাড়িতে চড়েও ভিন্নজগতে যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে নামতে হবে রংপুরের পাগলাপীর বাসস্ট্যান্ডে। এছাড়া রংপুর থেকে জলঢাকাগামী গাড়িতে ভিন্নজগতে যেতে পারবেন। সেখান থেকে ১শথেকে দেড়শটাকায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে করে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে যাওয়া যায় ভিন্নজগতে

প্রবেশ মূল্য:

ভিন্নজগতের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এছাড়া ভেতরের প্রতিটি রাইডের জন্য আলাদা করে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। দর্শনার্থীদের থাকার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি প্যালেস রয়েছে। যার কক্ষগুলো অত্যাধুনিক। এখানে রাত্রিযাপন ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দামও খুব একটা বেশি নয়।

কোথায়: রংপুর শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে, পাগলা-পীরে বিশাল এলাকা নিয়ে এই থিম পার্কটি অবস্থিত।

কী দেখবেন: জায়গাটিতে গেলে সবার আগে যেটা নজরে আসবে তা হল, সারাক্ষণ নানা জাতের পাখির কোলাহলে মুখরিত থাকে এটি। গাছে গাছে দেখা যায় নানান প্রজাতির পাখি, সারাদিন খাবারের সন্ধানে এদিক সেদিক ঘুরে সন্ধ্যা হলেই তারা তাদের নীড়ে ফিরে আসে। ভিন্নজগতে প্রাকৃতিক পরিবেশে ভিন্নতা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি হাজারও বৃক্ষের সমাহারে। অসংখ্য গাছের ছায়ায় এখানে সেখানে সারাটা দিন ঘুরে বেড়াতে পারেন। ভিন্নজগতের প্রধান ফটক পার হলেই তিন দিকের বিশাল লেক ঘেরা নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা শেষ হলেই সামনে পড়বে লোহার ১টি ব্রিজ। ব্রিজটি পার হলেই ভিন্নজগতের ভেতর যেন আরেকটি ভিন্নজগত।


মিনার

বাংলাদেশের প্রথম প্লানেটোরিয়ামটি এখানেই স্থাপন করা হয়েছিল, সেটা এখনও চালু আছে। এছাড়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত দোকানপাট, তিনশ আসনবিশিষ্ট আধুনিক কনফারেন্স কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিংপুল ও মসজিদ। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য রয়েছে রোবট স্ক্রিল জোন, স্পেস জার্নি, জল তরঙ্গ, সী-প্যারাডাইস, আজব গুহা, নৌকা ভ্রমণ, শাপলা চত্বর, বীরশ্রেষ্ঠ এবং ভাষা সৈনিকদের ভাস্কর্য, ওয়াক ওয়ে, থ্রিডি মুভি, ফ্লাই হেলিকপ্টার, মেরি গো রাউন্ড, লেক ড্রাইভ, সুইমিং পুল স্পিনিং হেড এর মত বিভিন্ন বিনোদন ব্যবস্থা। যারা শখের মৎস্য শিকারি, তাদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ফী এর বিনিময়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা।



বিশাল দল নিয়ে পিকনিকে মেতে ওঠার মত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে এখানে, রয়েছে গাড়ি পার্কিং এর সু-ব্যবস্থা। থাকার জন্য কটেজ রয়েছে ৭টি। রয়েছে থ্রি স্টার মডেলের ড্রিম প্যালেস। এখানকার জলাশয়ে রয়েছে নৌভ্রমণের সুবিধা। শিশুদের জন্য রয়েছে ক্যাঙ্গারু, হাতি, ঘোড়াসহ নানা জীবজন্তুর মূর্তি।


Add caption

ভিন্নজগতের জলাশয়ের চারিধার জুড়ে রয়েছে পরিকল্পিতভাবে রোপিত নানা জাতের শোভা-বর্ধনকারী গাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন, বাস, মাইক্রো-বাস, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে প্রচুর মানুষ বেড়াতে আসেন এখানে।

থাকা: ভিন্নজগতের নিজস্ব থাকার ব্যবস্থা আছে যা অনেক উন্নত হোটেল এর সমমানের। এছাড়াও রংপুর শহরে বেশ কিছু থ্রি-স্টার হোটেল আছে যেখানে আপনি থাকতে পারেন। ভাড়া তিনশ টাকা থেকে থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।



Image result for ভিন্নজগত রংপুর



বিশাল এই থিম-পার্কটির সম্প্রসারণের কাজ কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। নিয়োজিত স্থপতিদের কথায় জানা যায় যে প্রতি বছর ধীরে ধীরে এটার আকার ও আয়তন বাড়ানো হচ্ছে, নতুন নতুন রাইড যোগ করা হচ্ছে। পুরো পরিকল্পনা মত এটার কাজ শেষ হতে হয়ত আরও বিশ বছর লেগে যেতে পারে। সামনে আরও নতুন কি আসছে সেটা হতে পারে একটা কৌতূহলের বিষয়।


কিছু সমস্যাও আছে:

পাগলাপীর বাসস্ট্যান্ড থেকে ভিন্নজগত যেতে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ যে সড়কটি রয়েছে তা একবারেই চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টিতে সড়কের ইট-সুড়কি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টির হয়েছে। ১০ ফুট চওড়া এই সড়ক দিয়ে ২টি গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারে না। অনেকের অভিযোগ, এছাড়া এখানে থাকার জন্য যেসব হোটেল রয়েছে তার ভাড়াও অনেক বেশি। ভিন্নজগতে বেড়াতে আসা লোকজনের অভিযোগ, ভাত থেকে শুরু করে যেসব জিনিস এখানে পাওয়া ম বাইরের চেয়ে অনেক বেশি, আবার মানও খারাপ।


বাহির পথঃ 









Comments

Popular posts from this blog

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার- টূরিস্ট গাইড ২৪

সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ - টুরিস্ট গাইড ২৪