Posts

Showing posts from August, 2018

স্বপ্নপুরি দিনাজপুর - টুরিস্ট গাইড ২৪

Image
                        স্বপ্নপুরী দিনাজপুর স্বপ্নপুরীর প্রবেশ পথ অবস্থান স্বপ্নপুরী   রংপুর বিভাগের   দিনাজপুর জেলার   নবাবগঞ্জ উপজেলার   আফতাবগঞ্জে   অবস্থিত। যা   উপজেলা   সদর থেকে ১৫ কি:মি: উত্তর দিকে ৯ নং কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের অধীন খালিপপুর মৌজার মধ্যে পরে । ইতিহাস কুশদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মো: দেলওয়ার হোসেন তার অক্লান্ত শ্রম ও অর্থের বিনিময়ে ১৯৮৯ সালে   স্বপ্নপুরীর কাজ শুরু করেন। বর্তমানে   দিনাজপুর ৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য   মো: শিবলি সাদিক এম. পি ' র অধীনে এটি চালু আছে। আয়োজন এখানে বিভিন্ন রাইডস ,  চিড়িয়াখানা , রেস্ট হাউজ ,  বাগান ,  হ্রদ , বিশ্বের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ , ' রংধনু ' আর্ট গ্যালারি , ' মহা মায়া ইন্দ্রজাল ' নামে জাদুর গ্যালারী এবং কেন্দ্রীয় পিকনিকের একটি কেন্দ্র আছে। ভি , আই , পি , রেস্ট হাউস ১০টি , মধ্যম শ্রেণীর ১৪ টি এবং অন্যান্য ০৮ টি রেষ্ট হাউস নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে আরও রেষ্ট হাউস নির্মাণসহ স্বপ্নপুরীর উন্নয়নের কাজ চলছে। কেবলকার , ঘোড়ারগাড়ী , চিড়িয়াখানা , কৃত্রিম চ

নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর - টুরিস্ট গাইট ২৪ ব্লগ

Image
                                        নয়াবাদ মসজিদ নয়াবাদ মসজিদ দিনাজপুর   অবস্থান : নয়াবাদ মসজিদ   বাংলাদেশের   দিনাজপুর   শহর হতে প্রায় ২০   কিলোমিটার   দূরে   কাহারোল উপজেলার   নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত । মসজিদটির পাশ দিয়ে চলে গেছে   ঢেপা নদী । ১.১৫   বিঘা   জমির উপর এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। ইতিহাস : মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি   সম্রাট   দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য , ১২০০ বঙ্গাব্দে(ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে , ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে   কান্তনগর মন্দির   তৈরির কাজে আগত   মুসলমান   স্থপতি   ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে। বিবরণী : নয়াবাদ মসজিদের বাহিরের দৃশ্য  মসজিদটি ১.১৫ বিঘা জমির উপর তৈরি করা হয়েছে। মসজিদটির তিনটি গম্বুজ , তিনটি মেহরাব এবং সামনের দেয়ালে তিন দরজা

রামসাগর দিনাজপুর - টুরিস্ট গাইড ২৪

Image
                                  রামসাগর দিনাজপুর রামসাগর প্রবেশ পথ  রামসাগর কোন সাগর নয় তারপরেও তার নাম রামসাগর। সৌন্দর্য্য এবং আয়তনের দিক থেকে রামসাগর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দীঘি। এ দীঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জাতীয় ‍উদ্যান। রামসাগর ও জাতীয় এই উদ্যানকে ঘিরে প্রতিদিন সারা দেশ থেকে ভ্রমন পিঁপাসু হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়। বন্ধুরা তোমরা যারা দিনাজপুর ভ্রমন করতে যাবে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি , দিনাজপুর গেলে কিন্তু রামসাগর দেখতে যাওয়া চাই-ই-চাই। কারণ রামসাগর না গেলে দিনাজপুর ভ্রমনের আনন্দটাই মাটি। চলো তাহলে ঘুরে আসি দিনাজপুর জেলার রামসাগর দীঘি থেকে।   দিনাজপুর   সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দিনাজপুর শহর থেকে ৫ মাইল দক্ষিণে এই দিঘিটির অবস্থান। শুধুমাত্র জলাধার বা ‌ঐতিহাসিক কীর্তি নয় , এক বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী একটি মনোরম পার্ক রয়েছে এখানে। পলাশী যুদ্ধের প্রাক্কালে দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ ১৭৫০-১৭৫৫ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রামসাগর দীঘিটি খনন করান এবং তার নামেই এর নামকরণ করা হয়। কি দেখবেন রামসাগর গিয়েঃ রামসাগর  এ চারপাশে সবুজ ব

কান্তজির মন্দির দিনাজপুর - ঐতিহাসিক স্থান

Image
          কান্ত জীর মন্দির দিনাজপুর কান্তজীর মন্দির  কান্তজীর মন্দির   ইটের তৈরি আঠারো শতকের মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১৯ কি.মি উত্তরে এবং দিনাজপুর-তেতুলিয়া সড়কের প্রায় ২ কি.মি পশ্চিমে ঢেপা নদীর অপর পাড়ে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দির স্থাপিত। বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ নবরত্ন বা ‘ নয় শিখর ’ যুক্ত হিন্দু মন্দিরের চূড়া থেকে আদি নয়টি শিখর ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে এ মন্দিরে। মন্দিরের নির্মাণ তারিখ নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অপসারিত হয় মন্দিরের পূর্বকোণের ভিত্তি দেয়ালের সঙ্গে সংযুক্ত সংস্কৃত ভাষায় লেখা কালানুক্রম জ্ঞাপক একটি   শিলালিপি   থেকে। সূত্র অনুযায়ী দিনাজপুরের মহারাজ প্রাণনাথ ১৭২২ সালে এ মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং তাঁর স্ত্রী রুকমিনির আদেশে পিতার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য মহারাজের দত্তকপুত্র মহারাজ রামনাথ ১৬৭৪ শকে (১৭৫২ সালে) মন্দিরটির নির