সেন্টমারটিন দীপ ভ্রমন- টুরিস্ট গাইড ২৪



                             সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ

 প্রবেশ পদ

সেন্টমার্টিন একটি ছোট দ্বীপ যা বাংলাদেশের সীমানার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য অবলোকনের ভ্রমণের একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা এটি বঙ্গোপসাগরের উওর-পূর্ব অংশে এবং টেকনাফ থেকে  কিলোমিটার দক্ষিণে  অবস্থিত আরবের কিছু নাবিক ২৫০ বৎসর পূর্বে এটি আবিস্কার করে তারা এটিকেজাজিরানামকরণ করেন বৃটিশ শাসনের সময়কালে এটিকে পুনরায়সেন্টমার্টিনদ্বীপ নামে নামকরণ করা হয় দ্বীপটির স্থানীয় নাম নারিকেল  জিনজিরা

 
উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা


এটিই বাংলাদেশের একমাএ প্রবাল দ্বীপ এর আয়তন বর্গ কিলোমিটার ২০০৬ সালের হিসেব অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ,০০০ জন এবং এর ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮৭৫ জন সেন্টমার্টিনের ব্যপিÍতে  ছেঁড়াদ্বিপ নামে একটি সংযোযিত অংশ রয়েছে রাজধানী ঢাকা থেকে এখানে পৌঁছাতে প্রায় ১২ ঘন্টা সময় লাগে


 
নারিকেল জিঞ্জিরা

সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ: বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমিদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম। বিখ্যাত লেখক,কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর দারুচিনির দ্বীপ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি দ্বারা এই দ্বীপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায়

 
দ্বীপ

ইতিহাস:কবে প্রথম এই দ্বীপটিকে মানুষ শনাক্ত করেছিল তা জানা যায় না। প্রথম কিছু আরব বণিক এই দ্বীপটির নামকরণ করেছিল জিঞ্জিরা। উল্লেখ্য এরা চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যাতায়াতের সময় এই দ্বীপটিতে বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করতো। কালক্রমে চট্টগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন মানুষ এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামেই চিনতো। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কিছু বাঙালি এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দ্বীপে বসতি স্থাপনের জন্য আসে। এরা ছিল মূলত মৎস্যজীবি। যতটুকু জানা যায়, প্রথম অধিবাসী হিসাবে বসতি স্থাপন করেছিল ১৩টি পরিবার। এরা বেছে নিয়েছিল এই দ্বীপের উত্তরাংশ। কালক্রমে এই দ্বীপটি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত হয়। আগে থেকেই এই দ্বীপে কেয়া এবং ঝাউগাছ ছিল। সম্ভবত বাঙালি জেলেরা জলকষ্ট এবং ক্লান্তি দূরীকরণের অবলম্বন হিসাবে প্রচুর পরিমাণ নারকেল গাছ এই দ্বীপে রোপণ করেছিল। কালক্রমে পুরো দ্বীপটি একসময় 'নারকেল গাছ প্রধান' দ্বীপে পরিণত হয়। এই সূত্রে স্থানীয় অধিবাসীরা এই দ্বীপের উত্তরাংশকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত করা শুরু করে। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ ভূ-জরীপ দল এই দ্বীপকে ব্রিটিশ-ভারতের অংশ হিসাবে গ্রহণ করে। জরীপে এরা স্থানীয় নামের পরিবর্তে খ্রিষ্টান সাধু মার্টিনের নামানুসারে সেন্ট মার্টিন নাম প্রদান করে। এরপর ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের বাইরের মানুষের কাছে, দ্বীপটি সেন্ট মার্টিন নামেই পরিচিত লাভ করে।[১]

 

 
পরিবহণ

 

ভৌগোলিক আয়তন: সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত অগণিত শিলাস্তূপ আছে।সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের গড় উচ্চতা ৩.৬ মিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর।
ভৌগোলিকভাবে এটি তিনটি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশকে বলা হয় নারিকেল জিনজিরা বা উত্তর পাড়া। দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত একটি সঙ্কীর্ণ লেজের মতো এলাকা। এবং সঙ্কীর্ণতম অংশটি গলাচিপা নামে পরিচিত। দ্বীপের দক্ষিণে ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের ছোট দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া/ ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। এটি একটি জনশূন্য দ্বীপ। ভাটার সময় এই দ্বীপে হেটে যাওয়া যায়। তবে জোয়ারের সময় নৌকা প্রয়োজন হয়

 

 
দিপের পূর্ব অংশ

 

ভূপ্রকৃতি :সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপটির ভূপ্রকৃতি প্রধানত সমতল। তবে কিছু কিছু বালিয়াড়ি দেখা যায়। এ দ্বীপটির প্রধান গঠন উপাদান হলো চুনাপাথর। দ্বীপটির উত্তর পাড়া এবং দক্ষিণ পাড়া দুজায়গারই প্রায় মাঝখানে জলাভূমি আছে। এগুলো মিঠা পানি সমৃদ্ধ এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক। দ্বীপটিতে কিছু কৃষি উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবাল, ১শ ৮৭ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক, ১শ ৫৩ প্রজাতির সামুদ্রিক শৈবাল, ১শ ৫৭ প্রজাতির গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, ২শ ৪০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, চার প্রজাতির উভচর ও ১শ ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পেজালা নামে পরিচিত Sea weeds বা অ্যালগি (Algae) এক ধরণের সামুদ্রিক শৈবাল সেন্ট মার্টিন্সে প্রচুর পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে তবে লাল অ্যালগি (Red Algae) বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও রয়েছে ১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী।[২] অমেরুদন্ডী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ, শিল কাঁকড়া, সন্যাসী শিল কাঁকড়া,লবস্টার ইত্যাদি। মাছের মধ্যে রয়েছে পরী মাছ, প্রজাপতি মাছ, বোল করাল,রাঙ্গা কই, সুঁই মাছ, লাল মাছ,উড়ুক্কু মাছ ইত্যাদি।[২] সামুদ্রিক কচ্ছপ সবুজ সাগর কাছিম এবং জলপাইরঙা সাগর কাছিম প্রজাতির ডিম পাড়ার স্থান হিসেবে জায়গাটি খ্যাত।

 

 

 
্প্রকিতী

উদ্ভিদবৈচিত্র: দ্বীপে কেওড়া বন ছাড়া প্রাকৃতিক বন বলতে যা বোঝায় তা নেই। তবে দ্বীপের দক্ষিণ দিকে প্রচুর পরিমাণে কেওড়ার ঝোপ-ঝাড় আছে। দক্ষিণ দিকে কিছু ম্যানগ্রোভ গাছ আছে। অন্যান্য উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে কেয়া, শ্যাওড়া, সাগরলতা, বাইন গাছ ইত্যাদি।[

 
ছেরা দিপ

 

অধিবাসী:প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ বছর আগে এখানে লোক বসতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে সাত হাজারেরও বেশি লোক বসবাস করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দ্বীপের লোকসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান পেশা মাছ ধরা। পর্যটক ও হোটেল ব্যবসায়ীরাই প্রধানত তাদের কাছ থেকে মাছ কেনেন। ছোট মাছ পাটিতে বিছিয়ে, পিটকালা মাছ বালুতে বিছিয়ে এবং বড় জাতের মাছ পেট বরাবর ফেড়ে মাচায় শুকানো হয়। এ ছাড়াও দ্বীপবাসী অনেকে মাছ, নারিকেল, পেজালা এবং ঝিনুক ব্যবসা করে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এছাড়াও কিছু মানুষ দোকানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। ছোট ছোট শিশুরা দ্বীপ থেকে সংগৃহীত শৈবাল পর্যটকদের কাছে বিক্রি করে থাকে। সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপেই প্রচুর নারিকেল এবং ডাব বিক্রি হয়। মায়ানমারের আরাকন থেকে বাংলা ভাষি রোহিঙ্গাদের দ্বীপ অঞ্চলে প্রায়শই দেখা যায়।

 

 

 

পর্যটন:দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেল রয়েছে। একটি সরকারি ডাকবাংলো আছে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল।

পরীবহন বেবস্থা


কিভাবে যাওয়া যায়:যেভাবে যাবেন : বাংলাদেশের যে কোনও স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে প্রথমে জিপে চড়ে টেকনাফ, টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছাবেন সেন্টমার্টিনে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় দূরপাল্লার বেশ কিছু গাড়ি। বাসে ভাড়া লাগবে এসি ১২০০-১৪০০ এবং নন-এসি ৮০০-৯০০ টাকা। কক্সবাজার তো গেলেন তারপর বাসে ১৪০ টাকা, অথবা রিজার্ভ মাইক্রোবাসে সেন্টমার্টিন যেতে ভাড়া লাগবে পারেন (৮-১০ সিট)। প্রতিদিন সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চলাচল করে এসব গাড়ি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সকাল থেকে আসা-যাওয়া করে সি-ট্রাক, কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং ......................................। চমৎকার এসব জাহাজের পাশাপাশি ট্রলার ও চলাচল করে এই সমুদ্র রুটে। পছন্দসই বাহনে যেতে পারেন। তবে নিরাপদ জলযান হিসেবে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও ............. নির্ভরযোগ্য। এসব জাহাজে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। অন্যদিকে প্রতিদিনই বিকাল ৩টায় এসব সাহাজ সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে। শীত মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে, তখন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ।

 
দিপের দক্ষিণ অংশ


দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের


 

Comments

  1. Cheap Countries In Europe Tourism. Discover European villages in this traveling expat blog, with free mediterranean itineraries + packing lists guides.
    Any way I'll be subscribing to your feed and I hope you post again soon. Big thanks for the useful info.
    will help you more:
    list of best cheap european countries

    ReplyDelete
  2. Наша компания имеет официальные лицензии стран указанных на нашем сайте и находится на правительственных сайтах. Наш Уставной Капитал более 40 миллионов Рублей - это сделано для вашего спокойствия и безопасности получения пспортов, видов на жительства и покупкаи недвижимости. Мы выполняем взятые на себя обязательства, нет ни одного отказа за все время работы нашей компании. Мы умеем работать с самыми сложными кейсами, странами и предпочтениями наших клиентов
    Its full of information I am looking for and I love to post a comment that "The content of your post is awesome" Great
    will help you more:
    инвестиционный паспорт Антигуа и Барбуда

    ReplyDelete
  3. ОАЭ – это современная и развитая страна, она за короткое время смогла превратить пустыню в блага для своего народа, а также в отличное место для отдыха и туров. Эмираты – страна контрастов. Тут есть небоскребы и пляжи, песчаные дюны и громадные бизнес-центры. Объединенные Арабские Эмираты притягивают отдыхающих и туристов своей экзотикой, характером, урбанистической архитектурой, и именно поэтому путешественники со всего света покупают горячие путёвки и отправляются в эту страну.
    Its full of information I am looking for and I love to post a comment that "The content of your post is awesome" Great
    will help you more:
    туры в оаэ

    ReplyDelete
  4. Holo Holo Charters, one of Kauai’sperennial boat tour companies, is excited to show off some recent
    upgrades to their flagship, 60-foot powered catamaran named HoloHolo. Over the past six months,the maintenance department of has been working diligently to redesign
    Holo Holo’s interiorand to refinish her exterior, to continually improve the boats look,
    feel and performance.
    Its full of information I am looking for and I love to post a comment that "The content of your post is awesome" Great
    will help you more:
    Whale Watching Tours Kauai

    ReplyDelete
  5. НЕДВИЖИМОСТЬ В ГРЕНАДЕ

    Остров для сердца и души. Вы захотите здесь жить.Покупка недвижимости на Гренаде – уникальная возможность получить второе гражданство, плюс выгодно вложить свои денежные накопления, причем частные дома и квартиры здесь по европейским меркам стоят недорого. Недвижимость на самом острове ближе стоит дороже, желающие сэкономить без ущерба удобству, могут приобрести частный дом рядом на островах.

    Есть возможность приобрести шикарную нежвижимость с бассейном, садиком и всей инфраструктурой. Стоимость дома от 600 000 долларов. Цена зависит от площади, архитектуры и количества спален.

    Недорогое жилье предлагают в Сент-Джорджес, апартаменты на берегу моря площадью 40 кв.м. в 5-ти этажном здании со своим бассейном обойдутся всего в 350 000 долларов. Вы можете купить недвижимость на острове Гренады площадью 100-300 кв.м. стоимостью от 340 000 долларов. Квартиры отличаются планировкой и количеством спален.
    Its full of information I am looking for and I love to post a comment that "The content of your post is awesome" Great
    will help you more:
    недвижимость гренада

    ReplyDelete
  6. НЕДВИЖИМОСТЬ В ГРЕНАДЕ

    Новые резиденции и широкий спектр дополнительных курортных услуг появляются благодаря программе «Гражданство через инвестиции».
    Вы можете стать совладельцем этого прекрасного курорта
    и одновременно подать заявку на получение гражданства Гренады.
    «Гренада на мировой карте роскоши... Гренада аутентична: остров не развит чрезмерно, а люди здесь скромны, дружелюбны и очаровательны, как нигде»
    — Журнал Forbes
    Will help you more:
    гренада недвижимость цены

    ReplyDelete
  7. ADVANTAGES OF OBTAINING THE SAINT KITTS AND NEVIS CITIZENSHIP

    Registration of a second citizenship does not lose relevance for foreigners from all over the world. Political and economic instability in some countries makes their citizens look for a “spare airfield”. Fortunately, nowadayas, governments of more than 20 countries offer to acquire a residence permit or passport for money.

    The island state in the Caribbean, St. Kitts and Nevis, since 1984 has granted citizenship in exchange for investment. The country has the oldest and most famous passport program in the world. Over 11 thousand people have already received citizenship for money in the country.
    Will help you more:
    caribbean passport st kitts

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার- টূরিস্ট গাইড ২৪

সিলেটের দর্শনীয় স্থান সমূহ - টুরিস্ট গাইড ২৪

ভিন্নজগত রংপুর - টুরিস্ট গাইড ২৪